মোহে আর সম্মোহনে ডুবে সে এত দিন ভুলে ছিল তার ভূত-ভবিষ্যৎ অতীতের ভাষা। কবিতার পথ ছেড়ে যে-ই না সে কুহকের পথে হেঁটেছিল; রক্ত কোরকের নিচে চাপা পড়ে গেল তার জমানো শব্দের লগবুক! একে একে শূন্যতায় মিশে গেল তার ভূগর্ভস্থ প্রেমপত্র; কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাওয়ায় মিইয়ে গেল যত কীটদষ্ট চিরকুট।
গোপন তোরঙ্গ আর চাকার গহিন ছাপে সে কিছুতেই খুঁজে পেল না তার ম্যাজিকের চাবি, তাসবাক্স, প্রজাপতি আর টোটেমের ডানা। সূর্যাস্তের জলছাপ মাখা একটা কয়েন হাতে নিয়ে সে ঘুরপাক খেল কিছুক্ষণ; স্মৃতিভ্রষ্ট সরোবর থেকে লহমায় ভেসে উঠল ডাকিনীর শেষ চিঠি আর হরিণের ছালে ঢাকা মৃগনাভি।
শিল্পের জটিল পথ ধরে সে আরেকবার হেঁটে গেল; অমারাত্রির জ্যোতির্ময়ীর কাছ থেকে আরেকবার হাতড়ে নিল তার প্রিয় পদাবলি-জীবনের ফেনাপাত্র।
কবিসত্তা তার আবারও জ্বলে উঠেছিল আজ রাতে! টানা গদ্যে লেখা তার প্রাক-কবিতাগুলোর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে নরম সুগ্রীব সাদা কয়েকটি হাঁস; চকমকি শব্দপাথরের পাশে জাদুকরী প্রভাকীট। নাইরোবির বনদেবীর সাথে আবারও দেখা হবে আজ তার; কয়েক শতাব্দী ধরে জমে থাকা তার ঘন বীর্যগুলো আবারও পারদের মতো গলে পড়তে থাকবে বনদেবীর স্তনের বিশদ চূড়ায়।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৬, ২০১১
Leave a Reply