আছে ভাবের তালা দেই ঘরে, যে ঘরে সাঁই বাস করে।। ভাব দিয়ে খোল ভাবের তালা দেখবি সে মানুষের খেলা ঘুচে যাবে শমন-জ্বালা থাকলে সে রূপ নিহারে।। ভাবের ঘরে কি মূরতি ভাবের লণ্ঠন ভাবের বাতি ভাবের বিভাব হয় এক রতি অমনি সে রূপ যায় সরে।। ভাব নইলে ভক্তিতে কি হয় ভেবে বুঝে দেখা না এবার মনুরায় যার যে ভাব সে দেখিতে পায় লালন কয় বিনয় করে।।
———–
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৯০;
লালন-গীতিকা, পৃ. ২৬৩-৬৪
‘হারামণি’ ৫ম ও ৭ম খণ্ডে গানটি সংকলিত হয়েছে। ৫ খণ্ডে সঞ্চারী স্তবকটি এভাবে লেখা হয়েছে:
দেখ নারে সাঁইর কি কুদরতি ভাবের লক্ষণ ভাবের বাতি ভাবে বেভাব হয় এক রতি অমনি সে ভাব যায় সরে।।
তাছাড়া এখানে আভোগের ২য় চরণটি (ভেবে বুঝে দেখ না এবার মনুরায়) অনুপস্থিত।-পৃ. ৭০-৭১
Leave a Reply