লয়ে গুরুর মন্ত্র ছাড় ও যন্ত্র ঠিক হইয়া বও তরীর 'পর। প্রেমের বড়শি ফেলবি জলে খবরদার।। পাকাও এক রাগের সুতা ছয় তারে করে একেস্তার। ভাবের একটি টোম১ লাগাইয়া গেঁথে দাও সুতায়। নিচে সাড়া পেলে ভেসে উঠবে আর ও ব্রহ্মাকোরা একেস্তার।। নদীতে সদায় উঠে জল ও সে করছে টলমল রাগের ছড়ি, ছিপের বাড়ি খেলে বেটা শুকনায় হবি তল। কত রসিক জেলে জাল ফেলে প্রাণ নিয়ে দিচ্ছে সাঁতার।। ও আবার দেখে নদীর কূল ও তোর লাগবে মহাভুল টেপায়২ নিবে আধার৩ কেটে বেটা হবি নামাক্কুল। ফকির লালনের হয় এমনি দশা রে ও যেমন ভেদায় রুই করছে আহার।।
————–
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৩৪
গানটিতে বঁড়শি দ্বারা মাছ ধরার রূপক আছে। বাউলমতে পরমাত্মা মীন রূপে দেহে বিরাজ করেন। সেই কারণে মাছ ধরার কল্পনা করা হয়েছে। পূর্বোক্ত গানের (রাখলে সাঁই কূপজল করে) আঙ্গিকে এটি রচিত। সংগ্রহে ত্রুটি থাকার কারণে স্থানে স্থানে ছন্দঃপতন ঘটেছে।
১. টোম – বঁড়শির ফাৎনা
২. টেপা – এক প্রকার ক্ষুদ্র মাছ
৩. আধার – বঁড়শির চার; আটা, কেঁচো, বোলতার ডিম মাছ ধরার আধার রূপে ব্যবহৃত হয়।
Bishakha Mookherjee
Pathetic.