মুরশিদ বিনে কি ধন আর আছে রে মন এ জগতে।। যে নাম স্মরণ করে তাপিত অঙ্গ শীতল করে ভব-বন্ধন দূরে যায় রে জপ ঐ নাম দিবারেতে।। মুরশিদের চরণ-সুধা পান করিলে যাবে ক্ষুধা যেহি মুরশিদ সেহি খোদা বোঝ 'অলিয়েম মোরশেদা' আয়েত লেখা কোরানেতে।। আপনি খোদা আপনি নবী আপনি সেই আদম সফি অনন্ত রূপ করে ধারণ কে বোঝে তার নিরাকরণ নিরাকার হাকিম নিরঞ্জন মুরশিদ রূপ ভজন-পথে।। কুল্লে সাইন মোহিত আরো আলা কুল্লে সাইন কাদি্রো পড়ে কালাম নেহাজ করো তবে সব জানিতে পারো কেনে লালন ফাঁকে ফেরো ফকিরি নাম পাড়াও মিথ্যে।।
———–
লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৩০-৩১; লালন-গীতিকা, পৃ. ১৭৩
‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ (পৃ. ৫৯) এবং ‘হারামণি’ ১ম খণ্ডে (পৃ. ৪২-৪৩) গানটির ধুয়ার পূরণবাচক চরণগুলি নেই। দ্বিতীয় গ্রন্থে আভোগটি অসম্পূর্ণ। এতে কিছু পাঠভেদও আছে। গানটিতে ইসলামী সংস্কৃতি প্রতিফলন আছে। সুফি সাধনায় মুরশিদের স্থান ও বাউল সাধনায় গুরুর স্থান এক। ‘যেহি মুরশিদ সেহি খোদা’ – সুফির এই তত্ত্বে লালন বিশ্বাস করতেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-ইসলামি ভাবধারায় বিচরণ লালনের পক্ষে অনায়াস সাধ্য ছিল।
Leave a Reply