দিবানিশি থাক মন ঐ ধ্যানে। যার প্রতি হয় গুরুর দয়া বিবাদ নাই তার কোনখানে। দিব্যজ্ঞানের পাপী যারা খোদার কি রূপ জানে তারা ও তা জানবে কেনে অহিকেরা জ্ঞানীর মর্ম জানে জ্ঞানী জনে।। মুরশিদ জ্ঞান সঁপিল যারে ও তার মনের আন্ধার যাবে দূরে জ্ঞান-চক্ষে দেখবি তারে ও তাই ভাবছ মনে মনে।। লালন শাহ দরবেশ বলে শোন রে কিনু, বলি তোরে কি করিবে তোর মান গুমানে এখন সঁপেছি ফটিক চান্দের চরণে।।
———————————
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৯১-৯২, ৯৭
গ্রন্থে একই গানের দুটি পাঠ আছে। উভয়ের সমম্বয় করে পাঠটি নির্ণয় করা হয়েছে। অভোগে অন্ত্যমিলের ব্যত্যয় ঘটেছে।। ৯১-৯২ পৃষ্ঠায় সঞ্চারী ও আভোগের মিশ্রণজাত পাঠটি এরূপ:
মুর্শিদ জ্ঞান সঁপিল যাবে ও তার মনের আন্ধার যাবে দূরে তাই লালন বলে, জ্ঞান-চক্ষে দেখবি তারে কি করিবে তোর কাল শমনে। দৃষ্টি কেবল সিরাজ সাঁইর চরণে।।
শেষের চরণটি বাড়তি; লালনের গানে এমনটি থাকার কথা নয়।
Leave a Reply