মাঝখানে তিনটা নাও মাঝখানে একটা বালিশ
আর কী যে পুবালি বাতাস
পড়ন্ত বেলায় নদী বেয়ে যায় কণ্ঠে তার কুহেলির গান
যদি জানো তার মানে আলোঝালো বিষণ্ন বাগান থেকে
তোলা কালো গোলাপের পাপড়িগুলো
তোমাদের উদলা উঠানে ফেলে চলে গেছে বেভুলা বাউল
গেছে নাও বাদামি পালের সাথে সারিন্দার
অন্তর্ভেদী ক্রন্দনের সুর
মাঝখানে তিনটা নৌকা মাঝখানে একটা বালিশ
জামবাটিতে দুধের পুরুষ্ট সর
গাভিদের ফাটো-ফাটো বাঁট, পাকা
ডালিমের রসে আর্দ্র ঝিনুকের খোল
আজ শুধু বিদায়ের দৃশ্য আকাশে টাঙায় মাছরাঙা,
আজ হরিদ্রার নম্রবুকে জমা হয় নুন;
কথা ছিল যেখানে যাবার, যে-হাটের রদেঁভ্যুতে অপেক্ষায়
ছিল দুঁদে পাইকারের দল, তারা
ফিরে গেছে; হারানো শিকারের দুঃখ ভুলে
নিজের ছায়ার দিকে মন রুজু করেছে মার্জারি—এইভাবে
প্রবঞ্চনা সহে না সহে না
শুধু তিনটা নৌকা যায় মাঝখানে একটা বালিশ
জামবাটিতে দুধের পুরুষ্ট সর
বেলফুল জোড় হাতে মিনতি জানায়, আরও একবার
ভ্রষ্ট হোক শুভক্ষণ
কথার খেলাপ আর কষ্টের কলাপ
জামার আস্তিনে নিয়ে হেঁটে যাক ছেলে
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ২৯, ২০১১
Leave a Reply