মন কি তুই ভোড়ুয়া বাঙ্গাল জ্ঞান ছাড়া।
সদরের কাজ করছো সদায়,
পাছ-বাড়িতে নাই বেড়া।।
কোথা বস্তু কোথা রে মন
চৌকি পাহারা দেয় হামেশা কোন
কাজ দেখি পাগলের সমান
কথায় যেমন কাঠ ফাড়া।।
কোন কোণায় কি হচ্ছে ঘরে
একদিন তো দেখলি নারে
পৈতিক ধন নিলো চোরে
হলি রে তুই ফোকতারা।।
পাছ-বাড়ি আঁট করো
ঘর-চোরারে চিনে ধরো
লালন বলে, নইলে তোর
থাকলে না মূল এক কড়া।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২০০
‘লালন-গীতিকা’য় ধুয়ার ‘কাজ’ স্থলে ‘সাজ’, সঞ্চারীর ‘ফোকতারা’র স্থলে ‘কোকতারা’ এবং আভোগের ‘আঁট’ স্থলে ‘আটন’ কথান্তর আছে। পৃ. ২৯৩-৯৪
chinmoy
লালন আমায় তুমি মানুষ করে দাও