নিরাকার ভাসছে রে এক ফুল।
বিধি বিষ্ণু হর
আদি পুরন্দর
তাদের সে ফুল হয় মাতৃফুল।।
বলবো কি সে ফুলের গুণবিচার
পঞ্চমুখে সীমা দিতে নারে হর।
যারে বলি মূলাধার
সেও তো অধর
ফুলে আছে ধরা চোর সমুতুল।।
লীলা নিত্য পাত্রস্থিতি সে ফুলে
সাধকের মূল বস্তু এ ভূ-মণ্ডলে।
সে যে বেদের অগোচর
সে ফুলের নাগর
সাধু জনা ভেবে করেছে উল।।
কোথায় বৃক্ষ হারে কোথায় রে তার ডাল
তরঙ্গে পড়ে ফুল ভাসছে চিরকাল।।
সে যে কখন এসে অলি
মধু খায় সে ফুলি
লালন বলে, চাইতে গেলে দেয় ভুল।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২২৫;
লালন-গীতিকা, পৃ. ৬৭-৬৮
‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ ধুয়া ও অন্তরা স্তবকে পার্থক্য সামান্য; কিন্তু সঞ্চারী ও আভোগে বেশ পরিবর্তন আছে।
মিলে বস্তু ফুলের সাধনে
বেদের অগোচর, কেহ নাহি জানে
সেই ফুলের নগর আছে কোন স্থানে।।
সাধু জনা ভেবে করেছেন উল।।
কোথায় সে ফুলের বৃক্ষ, কোথায় সে জল
তরঙ্গের উপর ভাসছে রে চিরকাল
কখন আসে অলি
মধু খায় সে ফুলি
লালন ধরতে গেলে পায় না সে ফুল।। -ঐ, পৃ. ৭৯
সঞ্চারীর মূল কাঠামোটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ পাঠ গ্রহণযোগ্য নয়। আভোগে কাঠামোটি ঠিক আছে; কতক শব্দের কথান্তর আছে। -ওয়াকিল আহমেদ, লালন গীতি সমগ্র, পৃ. ১২৪
Leave a Reply