ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফান্দ পেতে।
সে কি সামান্য চোর ধরবি কোনা-কাঞ্চিতে।।
পাতালে চোরের বহর
দেখায় আসমানের উপর
তিন তারে করেছে খবর
হাওয়ার মূল ধরতে তাতে।।১
কোথা ঘর কি বাসনা
কে জানে ঠিক ঠিকানা
হাওয়ায় তার বারামখানা
শুভ শুভ যোগমতে।।২
চোর ধরে রাখবি যদি
হৃদ-গারদ কর গে খাঁটি
লালন কয়, নাটিখুঁটি
থাকতে কি সে দেয় ছুঁতে।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২০৯-১০
অন্নদাশঙ্কর রায়ের ‘লালন ও তাঁর গান’ গ্রন্থে গানটির শব্দে ও চরণে পাঠভেদ আছে। গানটি উদ্ধৃত করা হলঃ
ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফান্দ পেতে।
সে কি সামান্য চোরা ধরবি কোণা-কাঞ্চিতে।।
পাতালে চোরের বহর
দেখায় আসমানের উপর
তিন তারে হচ্ছে খবর
গুবাগুব যোগমতে।।
কোথা ঘর কি বাসনা
কে করে ঠিক ঠিকানা
হাওয়ায় তার লেনাদেনা
হাওয়া মূলাধার তাতে।।
চোর ধরে রাখবি যদি
হৃদ-গারদ কর গে খাঁটি
লালন কয়, নাটি-খুঁটি
থাকতে কি তোকে দেয় ছুঁতে।। -ঐ, পৃ. ৭৯
অন্তরা ও সঞ্চারীর ৪র্থ চরণের স্থান বদল হয়েছে।
‘লালন-গীতিকা’য় এরূপ কথান্তর আছেঃ
১ হাওয়া মূলাধার তাতে
২ হাওয়ায় তার লেনা-দেনা। -পৃ. ৩৪-৩৫
‘লালন ও তাঁর গান’-এর সাথে এ পাঠের মিল আছে। এসব পাঠ মিলিয়ে একটি সঠিক পাঠ নির্ণয় করা যায়। প্রথম পাঠে স্বচ্ছন্দতা অধিক। -ওয়াকিল আহমেদ, লালন গীতি সমগ্র, পৃ. ১২৩
সৌরদীপ
ধন্য ধন্য বলি তারে….
বেঁধেছে এমন ঘর
শুন্যের উপর
বোঁচকা করে!
ধন্য ধন্য বলি তারে……
সবে মাত্র একটি খুঁটি
খুঁটির গোড়ায় নাইকো মাটি
কিসে ঘর রবে খাটি
ঝড়ে, তুফান এলে পরে……..
ধন্য ধন্য বলি তারে…..
মূলাধার কুঠুরি নয়টা
তার উপরে চিলেকোঠা
তাতে এক পাগলা বেটা
বসে একা একেশ্বরে!
ধন্য ধন্য বলি তারে….
উপর নিচে সারি সারি
সরে নয়টা রোজা তারই
লালন কয় যেতে পারি
কোন দরজা খুলে ঘরে!!
ধন্য ধন্য বলি তারে…..