চারটি চন্দ্র১ ভাবের ভুবনে।
ও তার দুটি চন্দ্র প্রকাশ্য হয়
তাই জানে অনেক জনে।।
যে জানে সে চন্দ্র-ভেদ কথা
বলব কি তার ভক্তির ক্ষমতা
সে চাঁদ ধরে পায় চাঁদ অম্বেষণ
যে চাঁদ না কেউ পায় গুণে।।
এক চন্দ্রে চার চন্দ্র মিশে রয়
ক্ষণেক ক্ষণেক বিভিন্ন রূপ হয়
ও সে মণিকোঠার খবর জান গে
সকল খবর সেই জানে।।
ধরতে চায় মূল চন্দ্র কোন জন
গরল চন্দ্রের কর অম্বেষণ
দরবেশ সিরাজ সাঁই কয়, দেখ রে লালন
বিষামৃতে মিলনে।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২১৩-১৪
‘লালন-গীতিকা’য় আভোগের ২য় চরণে “গরল চন্দ্র কর নিরূপণ” কথান্তর আছে। – পৃ.১২১
১ শুক্র, রজঃ, বিষ্ঠা ও মূত্র – দেহে এই চার পদার্থকে প্রতীকের ভাষায় ‘চারি-চন্দ্র’ বলা হয়। বাউল দেহতত্ত্ব সাধনায় ‘চারিচন্দ্র ভেদ’ পদ্ধতির গুরুত্ব আছে। এই ভেদ-তত্ত্ব দ্বারাই বাউলগন অন্যান্য উপাসক সম্প্রদায় থেকে ভিন্ন- একথা অক্ষয়কুমার দত্ত, শশিভূষণ দাসগুপ্ত প্রমুখ বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন। – ওয়াকিল আহমেদ, লালন গীতি সমগ্র, পৃ. ১১৯
Leave a Reply