খাঁচার ভিতর অচিন পাখী কেমনে আসে যায়।
ধরতে পারলে মন-বেড়ী দিতাম তাহার পায়।।
আট কুঠুরী নয় দরজা আঁটা
মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাটা
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না-মহল তায়।।
কপালে মোর নইলে কি আর
পাখিটির এমন ব্যবহার
খাঁচা খুলে পাখী আমার
কোন বনে পালায়।।
মন, তুই রইলি খাঁচার আশে
খাঁচা যে তোর তৈরী কাঁচা বাঁশে
কোনদিন খাঁচা পড়বে খসে
লালন কেঁদে কয়।।
লালন কয় খাঁচা খুলে
সে পাখী কোনখানে পালায়।।
তৃপ্তি ব্রহ্ম, লালন-পরিক্রমা, ৩য় খণ্ড, পৃ. ১৩৫; ৪র্থ খণ্ড, পৃ. ৪। ঐ গ্রন্থে সঞ্চারীর ১ম চরণে ‘কপালে মোর’ স্থলে ‘কপালের ফ্যার’, ৩য় চরণে ‘খুলে’ স্থলে ‘ভেঙ্গে’ এবং ৪র্থ চরণে ‘পালায়’ স্থলে ‘লুকায়’ কথান্তর আছে। ‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ গানটির সঞ্চারীর স্তবক নেই। আভোগে একটি বাড়তি চরণ যুক্ত হয়েছে। লালনের গানের সুগঠিত সুর-কাঠামোতে এরূপটি দেখা যায় না। -ওয়াকিল আহমেদ, লালন গীতি সমগ্র, পৃ. ১১৭
অংশটি এরূপঃ
মন, তুই রইলি খাঁচার আশে
খাঁচা যে তোর তৈরী কাঁচা বাঁশে
কোনদিন খাঁচা পড়বে খসে
লালন কয় খাঁচা খুলে
সে পাখী কোনখানে পালায়।। -বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৭৩
Manus
osadoron mohotto, dorod, sotto.
nam ti manus liklam karon nam bol ley manus namer vitor dhormo kuje….
কাল্পনিক
এই গানের অর্থ বা ব্যাখ্যা জানতে খুব ইচ্ছা করছে!