কোন রাগে সে মানুষ আছে মহারসের ধনী।
পদ্মে মধু চন্দ্রে সুধা জোগায় রাত্রদিনি।।
সাধন সিদ্ধি প্রবর্ত তিন
রাগ ধরে আছে তিন জন
এ তিন ছাড়া বাগ নিরূপন
জানলে হয় ভাবিনী।।
মৃণাল গতি রসের খেলা
নব ঘাটে নব ঘেটেলা
দশমে যোগ বারি গোলা
যজ্ঞেশ্বর অযোনি।।
সিরাজ সাঁইর আদেশে লালন
বলছে বাণী শোন রে মজন১
ঘুরতে হবে নাগর-দোলন
না জেনে মন বাণী।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২২৬
উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সংগৃহীত গানে অন্তরার ৪র্থ চরণ ‘কোথাও হয় না জানি’ এবং সঞ্চারীর ৩য় চরণ ‘দশমে যোগকারী মেলা’ রূপে লেখা হয়েছে। এখানে আভোগটি লেখা হয়েছে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে, যথা-
সিরাজ সাঁইয়ের আদেশে বলছে লালন
শোন রে মন, ঘরতে হবে নাগর-দোলন
না জেনে মন এই বাণী।।
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ১১২-১৩
বস্তুত এটি ত্রুটিপূর্ণ; ছন্দ ও সুরের দিক থেকে অন্য স্তবকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। লালনের গানে এরূপ অসঙ্গতি সচারচর পরিলক্ষিত হয় না।
‘লালন-গীতিকা’ঊ আভোগের ২য় চরণে ‘মজন’ স্থলে ‘রঙ্গ’ আছে। (পৃ. ৩১৩) পাঠটি শুদ্ধ নয়। -ওয়াকিল আহমেদ, লালন গীতি সমগ্র, পৃ. ১১৭
১ মজন – মহাজন, মহত্ জন।
Leave a Reply