কিবা রূপের ঝলক দিচ্ছে দ্বিদলে।
সে রূপ দেখলে নয়ন যায় ভুলে।।
ফণি-মণি সৌদামিনী জিনি
এরূপ উজলে।।
অস্থি-চর্ম শূন্যরূপ
আছে মহারসের কূপ
বেগে ঢেউ খেলে।
ও তার এক বিন্দু অপার সিন্ধু
হয়রে এ ভূমণ্ডলে।
দেহের দল পদ্ম যার
উপাসনা নাই গো তার
কোথা কি মেলে।
তীর্থ-ব্রত যার জন্য এই দেহে তার
সব মেলে।।
রসিক যারা সচেতন
রস-রতি টেনে উজান
রূপ উদয় পেলে।
লালন গোঁড়া লেঙটি এড়া
মিছে বেড়ায় রূপ ভুলে।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২১৬
‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ অন্তরার ‘স্বর্ণরূপ’ স্থলে ‘শূন্যরূপ’ কথান্তর আছে। তা ছাড়া সঞ্চারী ও আভোগ এভাবে লিখিত হয়েছেঃ
উপাসনার নাই গো তার
দেহের সাধন সর্বসার
তীর্থ ব্রত যার জন্য
এ দেহে তার সব মিলে।।
রসিক যারা সচেতন
রস-রতি টেনে সে জন
রূপে উদয় খেলে।
লালন গোঁড়া লেংটি এড়া
মিছে বেড়ায় রূপ ভুলে।।
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ১০১-০২
‘লালন গীতিকা’য় আভোগের ৩য় চরণ “উজ্জ্বল রূপে উদয় খেলে” রূপে লিখিত হয়েছে। পৃ. ৯৭
Leave a Reply