কি আজব কলে রসিক বানিয়েছে কোঠা।।
শূন্যভরে পোস্তা করে তার উপর ছাদ আঁটা।।
অনন্ত কুঠরি থরে থর
চারদিকে আয়না-মহল তার
হাওয়ার পথ নাই, রূপ দেখা যায় মণি-মাণিক্যের ছটা।।
যেদিন যাবে রসিক চাঁদ সরে
হাওয়ার প্রবেশ হবে সেই ঘরে
নিভাইলে রসের বাতি ভেসে যাবে সব ঘটা।।
দেখিতে বাসনা যার হয়
দিল-দরিয়ায় ডুবলে দেখা যায়
লালন বলে, কল ছুটিলে কার আর দেখবি কেটা।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২০৪
এখানে ধুয়ার পূরণবাচক চরণ নেই। “লালন-গীতিকা” থেকে চরণটি গৃহীত হয়েছে। এ গ্রন্থে ভনিতার পদটি এভাবে লেখা হয়েছেঃ “লালন বলে, কল ছুটিলে দেখবি আয় মন রে কেটা।”-পৃ. ১২২-২৩
Leave a Reply