এ বড় আজব কুদরতি
আঠার মোকামের মাঝে
জ্বলছে একটি রূপের বাতি।।
কিবা রে কুদরতি খেলা
জলের মাঝে অগ্নি-জ্বালা
খবর জানতে হয় নিরালা
নীরে ক্ষীরে আছে জ্যোতি।।
ফণিমনি লাল জহরে
সে বাতি রেখেছে ঘিরে
তিন সময় তিন যোগ সেই ঘরে
যে জানে সে মহারতি।।১
থাকতে বাতি উজালাময়
দেখতে যার বাসনা হৃদয়
লালন কয়, কখন কোন সময়
অন্ধকার হবে বসতি।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ২২৫
কথান্তরঃ
১ চুনি মণি লাল জহরা
সেই বাতি রয়েছে ঘেরা
তিন সময় তিন যোগ ধরা
যে জানে সে মহারতি।।
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৪২-৩২;
হারামনি, ১ম খণ্ড, পৃ. ৪০-৪১
ছনি মণি লাল জহরে
সেই বাতি রেখেছে ঘিরে
তিন সময় তিন যোগে ধরে
যে জানে সেই মহারথী।।
লালন-গীতিকা, পৃ. ৮৫
বুদ্ধদেব রায় গানটির স্বরলিপি রচনা করেন। সেখানে পাঠভেদ আছে; এছাড়া আভোগ স্তবকটি নেই।
গানটি উদ্ধৃত হলঃ
এ বড় আজব কুদরতি
আঠারো মোকামের মাঝে
জ্বলছে একটি রূপের বাতি।।
কে বলে কুদরতি খেলা
জলের নছে অগ্নি জ্বালা
ডুবে দেখতে হয় নিরালা
যে জানে সে মহারথী।।
ছিয়া মণিলাল জহরা
সেই বাতি রেখেছে ঘিরা
খবর করতে হয় নিরালা
যে জানে সে সাধু ব্যক্তি।।
বুদ্ধদেব রায়, লোকগীতি-স্বরলিপি, কলকাতা, ১৩৮৬, পৃ. ৪৭
‘হারামণি’ ২য় খণ্ডে গানটি অভিন্ন আকারেই আছে; এখানেও ভনিতা নেই। পৃ. ১৬১
Leave a Reply