সাধ্য কি রে আমার সে রূপ চিনিতে।
অহর্নিশি মায়া-ঠুসি জ্ঞান-চক্ষেতে।।
ঘরে ঈষাণ কোণে হামেশ ঘড়ি
সেই নড়ে কি আমি নড়ি
আমি আমায় হাতড়া পাড়ি
পাই না দেখিতে।।
আমি আর সে অচিন একজন
এক জাগাতে থাকে দুজন
ফাঁক দিয়ে লক্ষ যোজন
চাইলে ধরিতে।।
ঢুঁড়ে হদ্দ মেনে আছি
এখন বসে খেদায় মাছি
লালন বলে মরে বাঁচি
কোন কাজেতে।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ১৯৪;
লালন-গীতিকা, পৃ. ৩৯০
Leave a Reply