যে পরশ পরশে, সে পরশ চিনে লে না।
সামান্য পরশের গুণ লোহার কাছে গেল জানা।।
পরশমণি স্বরূপ গোঁসাই
সে পরশের তুলনা নাই
পরশীরে যে জন তাই
ঘুচিবে কঠোর যন্ত্রণা।।
কুমীরেতে পরকে যেমন
ধরায় সে আপন ধরণ
স্ব-পরশে জানি রে মন
ওমনি মতো পরশনা।।
ব্রজের ঐ জলদ কালো
যে পরশে গৌর হলো
লালন বলে মন রে চলো
জানিতে সেই উপাসনা।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ১২৫;
‘লালন গীতিকা’য় (পৃ. ৫৩-৫৪) ধুয়ার ১ম চরণ “যে পরশের জোর যে পরশ, সে পরশ চিনিলে না।” এবং সঞ্চারীর ২য় চরণ “পরশে জানিবে মন এমনি যে পড়াশোনা।” -এরূপ পাঠভেদ আছে।
‘বাউল কবি লালন শাহ’ গ্রন্থে (পৃ. ২৯৫) ধুয়ার ১ম চরণ এভাবে লেখা হয়েছে, “যে পরশে স্পর্শে পরশ, সে পরশখানি চিনে লেনা।” এই গ্রন্থে সঞ্চারীর স্তবকটি এরূপঃ
কুমুরে পতঙ্গ যেমন
ধরাইল আপন চরণ
সে পরশে জানে যে জন
তেমনি তার উপাসনা
Leave a Reply