মনের হল মতি মন্দ
তাইতে রইলাম আমি জন্ম-অন্ধ।।
ভব-রঙ্গে থাকি মজে
ভাব দাঁড়ায় না হৃদয় মাঝে,
গুরুর দয়া ভবে কিসে
দেখে ভক্তিবিহীন পশুর ছন্দ।।
ত্যজিয়ে রে সুধা রতন
গরল খেয়ে ঘটায় মরণ,
মানিলে সাধ গুরুর বচন
তাইতে মূল হারায়ে শেষ হইবে ধন্ধ।।
বালক-বৃদ্ধ সকলি কয়
সাধুচিত্ত আনন্দময়
লালন বলে আমার সদায়
যায়না মনের নিরনন্দ।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ১২৩;
লালন-গীতিকা, পৃ. ১৩১ (সঞ্চারীর ৩য় চরণ এভাবে লেখা হয়েছে – “আমি মানিনে সাধু গুরুর চরণ।”)
হারামণি, ৫ম ও ৭ম খণ্ডে গানটির সামান্য কথান্তর আছে। ৭ম খণ্ডে ধুয়া ও সঞ্চারী লেখা হয়েছে এভাবে –
ধুয়াঃ
মনের হলে মন্দ
জন্ম থাকি রইলাম জন্ম-অন্ধ।
সঞ্চারীঃ
ত্যাগিয়া অমূল্য ধন
গরল খেয়ে ঘটায় মরণ
মানি না সেই গুরুর বচন
মূল হারিয়া হইল ধন্ধ।।
হারামণি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৪৬-৪৭; ৭ম খণ্ড, পৃ. ৩৮৬।
Leave a Reply