মন, তোর আপন বলতে কে আছে?
কার কান্দায় কান্দ মিছে।।
থাক সে ভবের ভাই-বেরাদর,
প্রাণ-পাখি সে হয় আপনার,
পরের মাথায় মজিয়ে এবার
প্রাপ্ত ধন হারায় পাছে।।
সারা নিশি দেখ মনুরায়,
নানান পক্ষী এক বৃক্ষে বয়,
যাবার বেলায় কে কারে কয়
দেহ-প্রাণ তেমনি সে যে।।
মিছে মায়ায় মদ খেও না,
প্রাপ্ত পথ ভুলে যেও না,
এবার গেলে আর হবে না
পড়বি ক’য় যুগের পেঁচে।।
আসতে একা এলি রে মন,
যেতে একা যাবি তখন,
সিরাজ সাঁই বলে রে লালন,
কার নাচায় নাচো মিছে।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ১৫২-৫৩;
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৩২;
লালন-গীতিকা, পৃ. ১৭-১৮।
এ গানে একটি অতিরিক্ত স্তবক আছে। ‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ ২য় স্তবকের প্রথম চরণে ‘সারা নিশি’র স্থলে ‘দিবানিশি’ কথান্তর আছে। ‘লালন-গীতিকা’য় অন্তরা ও সঞ্চারীর স্থান-বদল হয়েছে।
Leave a Reply