বিষয় বিষে চঞ্চল মন দিবা-রজনী।
মন তো বুঝালে বোঝে না ধর্ম-কাহিনী।।
বিষয় ছড়িয়ে কবে
মন আমার শান্ত হবে, হে।
আমি কবে সে চরণ
করিব শরণ,
যাতে শীতল হবে তাপিত পরানী।।
কোন দিন শ্মশানবাসী হব,
কি ধন সঙ্গে লয়ে যাব, হে।
আমি কি করি কি কই
ভূতের বোঝা বই,
একদিনও ভাবলেম না গুরুর বাণী।।
অনিত্য দেহেতে বাসা
তাইতে এত আশার আশা, হে।
অধীন লালন বলে,
তাই নিত্য হইলে,
আর কতই কি মনে করতে না জানি।।
শ্রীবসন্তকুমার পাল, ‘ফকির লালন সাহ’, প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৩৫;
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ১৫৭-৫৮;
বাংলার বাউল ও বাউল গান, পৃ. ৯৮
সঞ্চারীর ৪র্থ চরণে গানের খাতায় ‘গুরুর’ স্থলে ‘শ্রীগুরুর’ আছে। বাংলার বাউল ও বাউল গানে ঐ চরণটি এভাবে লেখা হয়েছে- “একদিন ভাবলে না মনা, গুরুর বাণী।” ধুয়ার ১ম চরণে ‘চঞ্চল’ স্থলে ‘চঞ্চলা’ লেখা হয়েছে। ‘লালন-গীতিকা’য় আভোগটি এভাবে আছেঃ
জানি ও দেহেতে বাসা
তাইতে এত আশার আশা হে
অধীন লালন তাই বলে
নির্গুণ হইলে
আর কতই কি মনে করতে না জানি।। – পৃ. ৩০৯
Leave a Reply