আমার মনে রে বোঝাই কিসে।
ভব-যাতনা আমার
জ্ঞান-চক্ষু আন্ধার
ঘিরল রে যেন রাহুতে এসে।।
যে আশাতে আমার ভবে আসা হল,
অসার ভাবিয়ে জন্ম ফুরাইল;
পূর্বে যে সুকৃতি ছিল
পেলাম সেহি ফল,
না জানি কি আর হবে রে শেষে।।
আমি গুনে আনি দেয়া, হয়ে যায় রে কুয়ো
আমার হল তেমনি সকল কর্ম ভুয়ো
কারে বলব এসব কথা
কে ঘুচাবে ব্যথা,
মন আগুনে মন দগ্ধ হতেছে।।
এ ভুবনে বিধি বড় বল ধরে
কর্মফাঁসে বেন্ধে মারিল আমারে;
কেন্দে লালন ফকির সদায়
দিছে গুরুর দোহাই
আর যেন আসি নে এমন দেশে।।
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ. ১৫৭
পাণ্ডুলিপিতে ধুয়ার প্রে দুটি চরণ আছে, যা প্রক্ষিপ্ত বলে প্রতিভাত হয়। মূলের অর্থের সাথে এর যোগসূত্র নেই; এজন্য মূল পাঠে তা উল্লেখ করা হয় নি। চরণ দুটি এরূপঃ
যেমন বনে আগুন লাগে সবাই তাহা দেখে।
মন আগুন কে দেখে মন কোটা ফেসে।।
সঞ্চারীর শব্দ চয়ন ও অন্ত্যমিল ত্রুটিপূর্ণ। তবে প্রক্ষিপ্ত অংশ বাদ দিলে গানের সুর-কাঠামোতে সমতা লক্ষ্য করা যায়। – ওয়াকিল আহমেদ, লালন গীতি সমগ্র, পৃ. ৫২
Leave a Reply