বড় রসিক বিনে
কেবা তারে চেনে
যার নাম
অধরা।
শাক্ত শক্তি বুঝে
সে রূপে সে মজে
বৈষ্ণবের বিষ্ণুরূপ নেহারা৷।
করে পঞ্চজ্ঞানী
পঞ্চরূপ বাখালি
রসিক বলে সেও তো লীলারূপ
গণি
বেদ-বিধিতে যার
লীলার নাই প্রচার
নিঘুম শহরে সাঁইজী সেরা।।
বলে সপ্তপন্থীর মত
সপ্ত রূপ ব্যাখ্যাত
রসিকের মন নয় তাতে রত
রসিকের মন রসেতে মজিয়ে
রূপ রস জানিয়ে
খেলছে তারা।।
যেজন ব্রহ্মজ্ঞানী হয়
সেও তো কথা কয়
না দেখে
নাম ব্রহ্মসার করে হৃদয়
সুন্দর রূপ দর্পণে
রূপ দেখে নয়নে
লালন বলে রসিক দীপ্ত
যারা৷।
————
৩২৬. লালন ফকির : কবি ও কাব্য, পৃ. ১৬৭-৬৮; লালন-গীতিকা, ৯৩-৯৪
ধুয়ায় খখখ গগক এবং অন্তরা ও অন্য স্তবকে খখখ গগক ছন্দোরীতি ব্যবহৃত হয়েছে। এরূপ ছন্দের ব্যবহার কদাচিৎ পরিলক্ষিত হয়। এতে ভাষার উপর লালনের অসামান্য দক্ষতার প্রমাণ আছে।
Leave a Reply