থাক না মন একান্ত হয়ে
গুরু গোঁসাইর মন লয়ে।।
চাতকের প্রাণ যদি যায়
তবু কি অন্যজল খায়
উর্দু মুখে থাকে সদায়
নবঘন জল চেয়ে।
তেমনি মতো হলে সাধন সিদ্ধি
হবে এই দেহে।।
এক নিরিখ দেখ ধনি
সূর্যগত কমলিনি
দিনে বিকশিত তেমনি
নিশিতে মুদিতে রহে।
তেমনি যেন ভক্তের লক্ষণ
একরূপে বাঁধে হিয়ে।।
বহু বেদ পড়াশুনা
সম্বিতে পায় রে মনা
সদাশিব যোগী সেনা
কিঞ্চিৎ ধ্যান করিয়ে।
শ্মশানে মশানে ফেরে
কিঞ্চিতের লাগিয়ে।।
গুরু ছেড়ে গৌর ভজে
সে জীব নরকে মজে
দেখ না মন পুঁথি পাথি (খুঁজে)
সত্যি কি মিথ্যা কহে।
মন তোরে বুঝবে কত
লালন কয় দিন যায় বয়ে।।
————–
লালন-গীতিকা, পৃ. ৮২
এই গানে ছোট-বড় ছয় চরণে স্তবক বিন্যাস করা হয়েছে। এরূপ আঙ্গিকে আরও কয়েকটি গান আছে।
Leave a Reply