অন্তিম কালের কালে ও কি হয় না জানি ।
কি মায়া ঘোরে কাটালাম হারে দিনমণি।।
এনেছিলাম, বসে খেলাম,
উপার্জন কই করিলাম,
বিকশের বেলা
খাটবে না ভেলা
এলো বানি।।
জেনে শুনে সোনা ফেলে
মন মজালাম রাঙ্ পিতলে,
এ লাজের কথা
বলিব কোথা
আর এখনি।।
ঠকে গেলাম কাজে কাজে,
ঘিরিল তনু পঞ্চাশে
লালন বলে মন
কি হবে এখন
বল্ রে শুনি।।
———————————–
লালন ফকিরঃ কবি ও কাব্য, পৃ ১৯৫
রবীন্দ্র-সদনে রক্ষিত খাতার অশুদ্ধ বানানে লিখিত গানগুলো সনত্কুমার মিত্র উক্ত গ্রন্থে সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে বানান এতই অশুদ্ধ যে, তার পাঠোদ্ধার করা দুরূহ কাজ।
গানটির চরণ-বিন্যাসে অভিনবত্ব আছে। ছোট-বড় চরণ ও অন্ত্যমিল দিয়ে নাচের ভঙ্গিও ছন্দ আনা হয়েছে। ‘ঘিরিল তনু পঞ্চাশে’ পঙক্তি থেকে অনুমিত হয়, লালনের বয়স যখন পঞ্চাশ বছর, তখন গানটি রচিত হয়। এটি প্রৌঢ়ত্বে প্রবেশের বয়স। “অন্তিম কালের কালে ও কি হয় না জানি ।” সূচনা-পঙক্তিতেও একই ইঙ্গিত আছে। এ সময় লালনের চেতনায় ও মনের পরিপক্কতা এসেছে। – ওয়াকিল আহমদঃ লালন গীতি সমগ্র, পৃ. ৪২।
AMIT CHAKRABORTY
খুব ই ই ভাল লাগল এ রখম একটা সাইট পেয়ে।
ধন্যবাদ
Prabir Acharjee
লব কুশ নামে হবে সীতার নন্দন।
উভয়ে শিভাবে তুমি বেদ রামায়ণ।।
Prabir Acharjee
এগার সহস্র বর্ষ পালিবেন ক্ষিতি।
পুত্রে রাজ্য গিয়া স্বর্গে করিবেন গতি।।
Piu Das
এতদিন পরে আর উত্তর পাওয়ার কোন প্রয়োজন বা ইচ্ছা আপনার আছে কিনা জানি না, কিন্তু মনে হল উত্তরটা দেওয়া দরকার। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে ১০৮টি নীলপদ্মে দেবী দুর্গার পূজা করলে মনস্কামনা পূর্ণ হতে বাধ্য। রামায়ণে আছে রামচন্দ্র রাবণবধের মানসে ১০৮ টি নীলপদ্মে দেবীর পূজার ব্রত নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ১০৬টির বেশি জোগাড় করতে পারেন নি। তখন নিজের নীলপদ্মতুল্য চোখদুটি উপড়ে তিনি দেবীর পূজা করেন। দেবী সন্তুষ্টা হয়ে তাঁর চোখদুটি ফিরিয়ে দেন এবং রাবণবধের উপায় বলে দেন। এখানেও এক দেবীর সন্তুষ্টি বিধায় আর নিজের মনোকামনা পূরণের ইচ্ছার কথা রয়েছে, সম্ভবত তাই ১০৮ পদ্মের কথা এসেছে। 🙂
Gunjali Nandy
asadharon uttor..