এতগুলো বাতি জ্বালানোর পরও তোমার ঘরে অন্ধকার! অথচ, কী বোকা আমি, না-জেনেই তোমার জন্য কয়েক পঙিক্ত অন্ধকার তুলে রেখেছিলাম। আমি শুধু জানতাম, চেয়ে আছ, পত্রিকায় কবে উঠবে চাঁদ। …বাদ দাও ওসব কথা। আপাতত সবকটা বাতি তুমি নিভিয়ে দাও। ঝুল বারান্দায় গিয়ে বসো। একা, যে রকম ঘরের ভেতর। বহুতল ভবনের গলিপথে এক-চিলতে বিম্বিত আকাশ। কী রকম ভাগ্য দেখ, দেখা যাচ্ছে পূর্ণাঙ্গ চাঁদ, গর্ভাশয়ে আবছায়া আসন্ন শিশুর ঘুমহাসি। মেঘের অ্যাপ্রন পরে নার্সরা চলাফেরা করে।
এ কি, উঠে গেলে কেন? হঠাৎ চোখের জলে জ্বলে উঠল সবগুলো বাতি। এখনো দোলনাটা দুলছে, মৃদু মৃদু, নরম সন্দেহে। তুমি কিন্তু ভুল করছ, কবিদের ভালোবাসাই চাঁদটাকে জননী করেছে।
…হয়তো তুমিও একদিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০১, ২০১১
Leave a Reply