০১
জীবনটা নিয়ে কখনো-কখনো, একটু-আধটু ছিনিমিনি
একটু-আধটু ছেলেখেলা
খেলতে হয়:
সব সময় এটা নিয়ে সিরিয়াস থাকতে নেই
তাহলে দুঃখ হয়ে হাত থেকে ফসকে যাবে প্রতিদিন
যথাযোগ্য পাওনাগুলো
যেভাবে ঘূর্ণি হাওয়ায় গায়ের জামা উড়িয়ে দিয়ে কেউ-কেউ
আনন্দে মেতে ওঠে; ট্রেনচালকের উদ্দেশে বলে ‘থামো, থামো…’
পকেটে খুব সাবধানে রাখা দু-চারটে টাকার কথা
কস্মিন কালেও চোখে ধরে না হূত-সম্পদের আনন্দ
জীবন্ত মুদ্রার মৃত্যুবরণ গায়ে মাখে না কেউ
জীবনটা সেভাবে গায়ে মাখতে নেই
ওকে মিসকিনের দেহে মাখো
কচু পাতার পানি করে রাখো
বিধাতার মতো খেলো, শচীনের মতো সীমানা পার করো
লাল-সাদা স্বপ্ন।
ভালোই লাগবে তাতে
তুমি কি জর্জরিত হওনি আর দশটা আঘাতে
তাহলে এত সিরিয়াস কেন?
০২
আগে তো মানুষ, তারপর জন্মভূমি
আগে জন্মভূমি তারপর মানুষ
—এই দুটো লাইনকে এক করতেই দেখি
মা-বাবার ছলছলে চোখে ঝুলন্ত অভিমান
আমার সব কথায়
তাদের এত উৎকণ্ঠা এত পেরেশানির কোনো মানে হয় না
কবিতারই অন্য নাম ‘জীবন’
সব কবিতারই অর্থ থাকতে হবে
এমনটি কে বলেছে?
জীবনটা নিয়ে কখনো-কখনো, একটু-আধটু ছিনিমিনি
একটু-আধটু ছেলেখেলা
খেলতে হয়।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৫, ২০১১
Leave a Reply