পত্রালাপ
১৯০২ সাল। শরতের এক বিকেল। ভিয়েনার মিলিটারি একাডেমি পার্কে বয়সী বাদামগাছের ছায়ায় পাঠে নিমগ্ন এক তরুণ। ফ্রানজ কাপুস। হাতে একটি কাব্যগ্রন্থ। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন অধ্যাপক হোরাচেক। বইটি হাতে নিয়ে দু-একটি পৃষ্ঠা নেড়েচেড়ে বললেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমাদের রেনে রিলকে কবি হয়ে গেল?’ কাপুসকে বলেন, ১৫ বছর আগে তিনি যখন সেন্ট পল্টনে লোয়ার মিলিটারি স্কুলে কর্মরত, রিলকে তখন সেই স্কুলের ছাত্র। ও ছিল শান্ত, গভীর বোধসম্পন্ন, মেধাবী। সামরিক স্কুলে পড়াশোনার সূত্রে কাপুস প্রিয় কবিকে পাঠায় নিজের কবিতা, জানতে চায় তাঁর মূল্যায়ন, উপদেশ। অনেক দিন পর আসে উত্তর। নীল খামের ওপর প্যারিসের সিলমোহর। শুরুটা এভাবেই।
কখনো দেখা হয়নি তাঁদের। শুধুই পত্রালাপ। ভক্তের সঙ্গে কবির। মিলিটারি একাডেমির ছাত্র কাপুসের বয়স তখন ১৯, রিলকের ২৭। রিলকের সঙ্গে কাপুসের পত্রালাপের নির্বাচিত সংগ্রহ।
অনুবাদ
মোটামুটিভাবে মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠার পরপরই নারী-পুরুষ পৃথিবীতে নিজেদের অবস্থা ও চারপাশের নানান রহস্যকে বোঝার উদগ্র কৌতূহল থেকে দেব-দেবীর উপাসনা শুরু করে। ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের অসাধারণ দৃষ্টি-উন্মোচক এ গ্রন্থটি একেশ্বরবাদী অর্থাৎ ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিমদের ঈশ্বর-সম্পর্কিত ধারণা ও অনুভূতির বিকাশ লাভের ইতিহাস অনুসন্ধান করেছে।
ঐতিহাসিক, দার্শনিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সামাজিক অগ্রগতি ও দর্শনের বহুবর্ণ পটভূমিকায় শত শত বছরের পরিক্রমার বিভিন্ন পর্যায়ে কীভাবে একেশ্বরবাদী প্রতিটি ধর্ম ঈশ্বর সম্পর্কে সূক্ষ্মভাবে ভিন্ন ধারণা গড়ে তুলেছিল, সেটাই দেখিয়েছেন ক্যারেন আর্মস্ট্রং। সঙ্গে সঙ্গে এসব ধারণার গভীর সাদৃশ্যের দিকেও আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন তিনি, স্পষ্ট করে তুলেছেন যে সব ধর্মেই ঈশ্বর প্রবল ও গভীর আবেগে এবং প্রায়ই, বিশেষ করে পাশ্চাত্যে, পীড়াদায়কভাবে অনুভূত হয়েছেন, হচ্ছেন। একেশ্বরবাদীদের কেউ কেউ দেখেছেন অন্ধকার, নৈঃসঙ্গতা ও আতঙ্ক; আবার অন্যদিকে অন্যরা দেখেছেন আলো ও দৈহিক রূপান্তর।
ইতিহাস
বাকেরগঞ্জ অঞ্চলের ইতিহাস প্রণয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এইচ সি সাদারল্যান্ড। তাঁর প্রণীত রিপোর্ট অন দি হিস্টরি এন্ড স্ট্যাটিসটিকস অফ দি ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ (১৮৬৮) ছিল সরকারি দায়িত্ব পালনের অংশ। ১৮৭৬ সালে এইচ বেভারেজ রচনা করেন দি ডিস্ট্রিক্ট অব বাকেরগঞ্জ। সরকারি কর্মকর্তার প্রতিবেদন হিসেবে রচিত হলেও এটি বাকেরগঞ্জ জেলার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইতিহাসগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত। খোসালচন্দ্র রায়ের বাকরগঞ্জের ইতিহাস (১৮৯৫), বৃন্দাবনচন্দ্র পূততুণ্ডের চন্দ্রদ্বীপের ইতিহাস (১৯১৩), রোহিনী কুমার সেনের বাকলা (১৯১৫) প্রকাশিত হলেও প্রাচীন ইতিহাসের আকর হিসেবে বেভারেজের ইংরেজিতে লেখা গ্রন্থটিই অধিক গুরুত্ব পায়। তাই ইংরেজি জানা পাঠক ও গবেষকদের হাত থেকে মুক্ত করে এর বাংলা ভাষ্য রচনা করলেন বিশিষ্ট গবেষক, অনুবাদক সিকদার আবুল বাশার।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৩, ২০১০
Leave a Reply