কুম্ভমেলায় এক তপস্বী আর কোথাও জায়গা না পেয়ে একটা বেলুন ফাটানোর স্টলের পাশে ধ্যান করতে বসলেন৷
সেই স্টলে একজন বাঙালি অনেক্ষণ ধরে এয়ারগান দিয়ে বেলুন ফাটানোর চেষ্টা করছিল৷ প্রতিবারই টার্গেট মিস্ করছিল আর আনমনে বলে উঠছিল, “ধুর শালা! ফস্কে গেল৷”
এতে সেই তপস্বীর সাধনায় ব্যাঘাত ঘটছিল৷ শেষমেশ থাকতে না পেরে তিনি লোকটিকে অনুরোধ করলেন, যাতে তিনি এভাবে অশালীন শব্দপ্রয়োগ করে চিৎকার না করেন৷
কিছুক্ষণ সেটা মেনে চলল, কিন্তু কয়েকবার ফের মিস্ করার পরে আবার সেই ডায়লগ!
তপস্বী আবার অনুরোধ করলেন, লোকটা ক্ষমা চেয়ে আবার প্র্যাকটিস শুরু করল৷
কিছুক্ষণ পরেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি৷ এভাবে কয়েক রাউণ্ড চলার পর তপস্বী খুব ক্ষেপে গিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন “আর একবার এরকম করলে তোমায় আমি ভস্ম করে দেব৷”
লোকটা আবার ক্ষমা চেয়ে নিল৷
কিন্তু একটু পরেই ফের সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি, “ধুর শালা! ফস্কে গেল৷”
প্রচণ্ড রেগে তপস্বী উঠে দাঁড়ালেন, দুই চোখ আগুনের মত জ্বলছে, হাতের কমণ্ডুলু থেকে একটু জল নিয়ে লোকটার গায়ে ছিটিয়ে বললেন,” হে ঈশ্বর, এই পাপীকে এক্ষুণি ভস্ম করে দাও।”
বলার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ কালো করে মেঘ ঘনিয়ে এলো, কড়াক্কড় শব্দে বিদ্যুত চমকাতে থাকলো, আর প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত নিচে আছড়ে পড়ল সেই তপস্বীর মাথায়৷ সাথে সাথে তপস্বীর দেহ পুড়ে ছাই হয়ে গেল !!
আর আকাশ থেকে দৈববাণী ভেসে এল –
“ধুর শালা ফস্কে গেলl”
পূর্ববর্তী:
« দৈন্যদশার কারণ
« দৈন্যদশার কারণ
পরবর্তী:
দোকান খোলা »
দোকান খোলা »
Leave a Reply