গো শকট
তখন মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান রায়বাহাদুর বৈকুণ্ঠনাথ সেন। এই বোর্ডের সভার আগের দিনে বৈকুণ্ঠ জানতে পারলেন, উদ্যোগীরা দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিতকে নিমন্ত্রণ করতে ভুলে গেছেন। কী করা যায়! সামনে এত কাজ! এত ব্যস্ততার মধ্যেও বৈকুণ্ঠ স্বয়ং রঘুনাথগঞ্জে ছাপাখানায় এসে দাদাঠাকুরকে নিমন্ত্রণ করে গেলেন। কীভাবে যাবেন দাদাঠাকুর? তার যাবার জন্য গোশকটের ব্যবস্থা করা হল।
পরের দিন নলিনীকান্ত সরকারকে সঙ্গে নিয়ে দাদাঠাকুর গরুর গাড়িতে চেপে যাত্ৰা করলেন। গ্রামের এবড়ো খেবড়ো রাস্তা। স্বভাবতই তাদের প্রচণ্ড বঁটাকুনি খেতে হচ্ছিল। তবে দুজনেই বেশ উপভোগ করছিলেন। দুপাশে সবুজ ধানক্ষেত, মাঝখানে মেঠো পথ ধরে গরুর গাড়িতে চেপে যাওয়া। একটু অন্যরকম ব্যাপার। বাঁকুনি প্রসঙ্গে দাদাঠাকুর নলিনীকে মজা করে বললেন, ও নলিনী, এরা যে শেক দি বটল বিফোর ইউজ করলে দেখছি। এ কথা শুনে নলিনী হেসে উঠলেন।
Leave a Reply