খোদা ও দেবতা
একবার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে রীতিমত খেপিয়ে তুলেছিলেন দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিত। একটি সাহিত্যসভায় দাদাঠাকুর নজরুলকে বলেন, জানো তো, আমাদের খোদা, তোমাদের খোদার খোদা।
নজরুল একথা শুনে বলেন, ধর্ম তুলে কী উল্টেপোল্টা কথা বলছেন আপনি?
দাদাঠাকুর বলেন, ঠিকই বলছি। যা সত্যি তাই বলছি। আমাদের, অর্থাৎ হিন্দুদের খোদা, তোমাদের, অর্থাৎ মুসলমানদের খোদার খোদা। বুঝলে?
নজরুল রেগে গিয়ে বলেন, দাদাঠাকুর, সাবধানে কথা বলবেন বলে দিচ্ছি। ভাল করছেন না। খুব অন্যায় করছেন।
নজরুল রেগে লাল দেখে দাদাঠাকুর ওকে ধরে বসিয়ে দিয়ে বলেন, তোমাদের খোদা অর্থাৎ আল্লা তো একমেবাদ্বিতীয়ম। তিনি তো ত্ৰিভুবনের কর্তা। আমরাও মানি সেই সৃষ্টিকর্তা এক ঈশ্বরকে। এছাড়াও আমাদের কিছু ছোট-বড় দেবতা আছে, জানো তো? সেইরকম এক দেবতা মানে দেবী হলেন মা গঙ্গা। এই দেবীকে কী খুদে বা খনন করে তৈরী করা যায়, বলো? এ হল সেই মহান খোদারই খোদা। বুঝলে?
নজরুল এতক্ষণে বুঝলেন দাদাঠাকুর রসিকতা করছেন, তাই তিনি হেসে উঠলেন ও নিজের মুখে একটা পান পুরে দিয়ে বললেন, আচ্ছা বেশ। মেনে নিলুম।
Leave a Reply