চরিত্রহীন ও বিদূষক
বিদূষক পত্রিকার সম্পাদক দাদাঠাকুর শরৎচন্দ্ৰ পণ্ডিত ও সাহিত্যিক শরৎচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায় একবার একই সাহিত্যসভায় আমন্ত্রিত। সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। পল্লীসমাজ দেবদাস, শ্ৰীকান্ত প্রভৃতি উপন্যাস লেখার জন্য তাঁর দারুণ খ্যাতি। সেই সবে মাত্র বেরিয়েছে চরিত্রহীন উপন্যাসটি। সেই উপন্যাসটি নিয়েও পাঠকমহল মেতে উঠেছে। বইটি রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সভায় প্রথমে এলেন সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র। র্তাকে কাছে পেয়ে উদ্যোক্তারা খুশিতে ডগমগ। এর কিছুক্ষণ পরে এলেন দাদাঠাকুর। উপস্থিত দুই আমন্ত্রিতর একই নাম। তফাৎ করার জন্য দাদাঠাকুরকে দেখে সাহিত্যিক শরৎচন্দ্ৰ হাসতে হাসতে বললেন, এসো, এসো হে বিদুষক শরৎচন্দ্র।
ব্যাপারটা উপলব্ধি করলেন রসিক দাদাঠাকুর। গোঁফের আড়ালে হাসলেন। তারপর কিছু না বলে একভাবে হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের দিকে। সাহিত্যিক শরৎচন্দ্ৰ অবাক হয়ে জিগ্যেস করলেন, কী দেখছি হে বিদূষক শরৎচন্দ্ৰ?
দাদাঠাকুর এবার রসিকতা করে বললেন, আজ্ঞে, দেখছি চরিত্রহীন শরৎচন্দ্ৰকে। এই উত্তর শুনে সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র ও সভার অন্যরা হেসে ফেললেন।
Leave a Reply