মচ্ছরচ্চন্দ্র
শরৎচন্দ্র তখন ভাগলপুরে। একজন পিওন একটা চিঠি নিয়ে অনেক জায়গায় ঘুরে তাঁর কাছে এসে জিগ্যেস করলেন, বাবু, এখানে মচ্ছ। রচন্দ্ৰবাবু বলে কেউ থাকেন
শরৎচন্দ্ৰ বললেন, কই চিঠিটা একবার দেখি
শরৎচন্দ্ৰ খামটা দেখে বললেন, এ আমার চিঠি।
নাম লেখা-শ্ৰী মচ্ছরচ্চন্দ্ৰ শৰ্মা।
পাশে বসা এক বন্ধু চিঠি দেখে শরৎচন্দ্ৰকে হাসতে হাসতে বললেন, তোমার নাম মচ্ছ রচন্দ্ৰ হল কী করে
শরৎচন্দ্ৰ বললেন, রসিকতা করেছে। নামটা সন্ধি করে দিয়েছে—শ্ৰীমৎ শরৎচন্দ্ৰ শৰ্মা। দাঁড়াও রসিকতার প্রত্যুত্তর দিচ্ছি।
এই বলা মাত্র শরৎচন্দ্ৰ বন্ধুকে একটি পাথর আনতে বললেন। পাথর নিয়ে এলেন বন্ধুটি। শরৎচন্দ্ৰ পাথরটি ভাল করে প্যাক করে একটি চিঠি লিখে চিঠিটি প্যাকের ভেতর পুরে দিলেন। এরপর ডাকঘরে গিয়ে ভি পি করে প্যাকটি একজনের নামে পাঠিয়ে দিলেন। আসলে এটা পাঠানো হল শরৎচন্দ্রের এক বন্ধুর কাছে, যিনি শৎরচন্দ্রকে রসিকতা করে ঐ চিঠি লিখেছেন। শরৎচন্দ্ৰ চিঠি পড়েই চিনতে পেরেছিলেন বন্ধুকে। প্যাক হাতে পেয়ে বন্ধুটি দেখেন সঙ্গে এক চিঠি। তাতে লেখা তোমার কুশল জেনে আমার মনের পাথরভার নামিয়ে দিলুম।
বন্ধুদের সঙ্গে শরৎচন্দ্র সর্বদাই এ রকম রসিকতায় মেতে থাকতেন।
Leave a Reply