থামতে জানেন
শরৎচন্দ্র ছিলেন একজন সংগীতপ্ৰেমী। তার সংগীতপ্রেমের কথা কারো অজানা ছিল না। কাছে পিঠে কোথাও গানের আসর বসলে তার নিমন্ত্রণ হতো। একবার দিলীপকুমার রায়ের কলকাতার বাড়িতে আয়োজন করা হয়েছে সংগীত সম্মেলন। সেই আসরে গান গাওয়ার কথা বিখ্যাত সংগীতশিল্পী আবদুল করিম সাহেবের। দিলীপকুমার অনেক ঘনিষ্ঠ জনদের নিমন্ত্রণ করলেন সংগীত সম্মেলনে গান শুনতে আসার জন্য। নিমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন শরৎচন্দ্ৰও। দিলীপকুমার সংগীত সম্মেলনের দিন সকালে নিজেই এলেন শরৎচন্দ্ৰকে নিমন্ত্রণ করতে। শরৎচন্দ্র তখন লিখছিলেন। দিলীপকুমারকে দেখে লেখা থামিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, কী খবর?
দিলীপকুমার বললেন, আজ আমাদের বাড়িতে একটা সংগীত সম্মেলন হবে। ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ গায়ক আবদুল করিম সাহেব। আসছেন। গান গাইতে। সেই আসরে আপনার নিমন্ত্রণ। আপনাকে যেতেই হবে।
একথা শুনে শরৎচন্দ্ৰ গভীর মুখে বললেন, যেতে পারি, তবে তোমাকে একটা ভরসা দিতে হবে।
দিলীপকুমার বললেন, বলুন কিসের ভরসা?
শরৎচন্দ্র বললেন, শুনেছি আবদুল করিম সাহেবের ওস্তাদী গান নাকি চমৎকার। খুবই ভাল গান করেন সন্দেহ নেই। কিন্তু আমার একটাই প্রশ্ন, উনি থামতে জানেন তো?
শরৎচন্দ্রের এ হেন রসিকতায় দিলীপকুমার হেসে ফেললেন।
Leave a Reply