বিপরীতগামী ট্রেন
শরৎচন্দ্র যখন পেগুতে উকিল মিঃ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ছিলেন তখন পেগু একজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অফিসে দু-তিন মাস অস্থায়ীভাবে চাকুরি করেন। এই সময় তিনি মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন রেঙ্গুনে। তিনি ছিলেন। আপাদমস্তক ভবঘুরে। সবসময় তাঁর মধ্যে একটা উদাসভাব দেখা যেত। একবার তিনি পেণ্ড থেকে রেঙ্গুন যাবেন। ব্যাগপত্র নিয়ে তিনি এসেছেন স্টেশনে। স্টেশনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুটো ট্রেন। তিনি ভুল করে বিপরীতগামী ট্রেনে উঠে পড়লেন, রেঙ্গুন যাবার ট্রেনে না উঠে। ট্রেন ছেড়ে দিল। তাঁর খেয়াল নেই। তিন ঘণ্টা পর নেওলবিন স্টেশন দেখে তাঁর চমক ভাঙল! এ কী, কোথায় এলাম! এই ট্রেন তো রেঙ্গুন যাবে না! তখন তিনি সেই স্টেশনে নেমে গেলেন এবং অনেক রাতে পেণ্ডতেই ফিরে গেলেন। এই ঘটনার কথা
শরৎচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়ের রঙ্গ রসিকতা পরে তিনি শোনান বন্ধুদের। কেন এমন ভুল হল?-বন্ধুদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলতেন, আর বোলো না, একটা উপন্যাসের প্লট তৈরী করতে গিয়েই ফ্যাসাদ ঘটেছে।
এ কথা শুনে বন্ধুরা হেসে উঠতেন।
Leave a Reply