পাদুকা পুরাণ
গুরুদের রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে একবার দেখা করতে এসেছেন শরৎচন্দ্ৰ। ঘরে ঢুকে শরৎচন্দ্ৰ দেখলেন রবীন্দ্রনাথ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ফরাসে জমিয়ে বসে আছেন। শরৎচন্দ্ৰ আস্তে আস্তে ঘরে ঢুকে গুরুদেবকে প্ৰণাম করলেন। রবীন্দ্ৰনাথ দেখলেন, শরৎচন্দ্রের হাতে কাগজে মোড়া কিছু একটা। রবীন্দ্ৰনাথ শরৎচন্দ্ৰকে জিগ্যেস করলেন, ওহে শরৎ, তোমার হাতে ওটা কী?
শরৎচন্দ্ৰ হেসে উত্তর দিলেন, গুরুদেব, এটা হচ্ছে পাদুকা পুরাণ।
একপাটি জুতো শরৎচন্দ্র একবার রেঙ্গুনে কবি নবীনচন্দ্র সেনের বাড়িতে গেছেন অতিথি হিসাবে।
দাশের ভাই রেঙ্গুন হাইকোর্টের জজ যতীশরঞ্জন দাশকে বসে থাকতে দেখে শরৎচন্দ্ৰ হঠাৎ এমন জোরে পিছনের দিকে দৌড় দিলেন যে তার পায়ের একপাটি জুতো খুলে পড়ে গেল। শরৎচন্দ্র ছিলেন অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির মানুষ। কোনো বিশেষ গণ্যমান্য পদস্থ লোকের সামনে যেতে তিনি লজা পেতেন। তিনি বলতেন, আমি সামান্য লোক, ওঁদের মত মানুষের কাছে যাওয়ার কোনো যোগ্যতাই আমার নেই।
Leave a Reply