মহামারী
শুধু সাহিত্যচৰ্চাই নয়, শরৎচন্দ্র একটু-আধটু বায়োকেমিক ও হোমিওপ্যাথির চর্চাও করতেন। তিনি গ্রামে থাকাকালীন একবার গ্রামে কলেরা মহামারীর আকার নেয়। শরৎচন্দ্ৰ ওষুধপত্র নিয়ে ছুটলেন রোগীদের শুশ্রুষা করতে। কিন্তু সবার কাছে যাওয়া তো তাঁর একার পক্ষে সম্ভব নয়। স্বভাবতই প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয় কলেরায়। নিরুপায় শরৎচন্দ্ৰ মনে কষ্ট পান। কিন্তু কী করবেন! এমন সময় তার বাড়ি থেকে খবর এলকয়েকজন ভদ্রলোক কলকাতা থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। এ কথা শোনা মাত্র শরৎচন্দ্ৰ ফিরে এলেন বাড়িতে। অতিথিদের উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা এসেছ বলেই আমি চলে এলাম।
আসলে গ্রামে ডাক্তারের অভাবে একের পর এক রোগী মহামারীতে মারা যাচ্ছে এটা মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না। শরৎচন্দ্ৰ। গ্রামের এই দুর্দশায় তিনি কষ্ট পাচ্ছিলেন। গ্রামের এই সামাজিক অবস্থাকে ব্যঙ্গ করে তিনি অতিথিদের বললেন, চলে এলাম, নাহলে কিছুটা সময় পেলে আরো কয়েকটা রোগী মেরে আসতাম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শরৎচন্দ্র তার লেখা বিভিন্ন উপন্যাসে গ্রামের দুর্দশা ও সামাজিক অবস্থার কথা লিপিবদ্ধ করেন।
Leave a Reply