হিন্দিতে বক্তৃতা
শরৎচন্দ্ৰ ভালো হিন্দি জানতেন না। তার হিন্দিজ্ঞান ছিল অতি সামান্য।
একবার তিনি গেছেন। পাটনা শহরে। একটি সাহিত্যসভার প্রধান অতিথি হিসাবে। উদ্যোক্তারা শরৎচন্দ্ৰকে সংবর্ধনা জানালেন। ওই সভার হোতা এবং শ্রোতা সবাই হিন্দিভাষী। অতএব বক্তব্য রাখতে হলে শরৎচন্দ্ৰকে হিন্দিতেই বলতে হবে। কী করা যায়!
এদিকে গোদের ওপর বিষফোঁড়া। শরৎচন্দ্রের গলাও গেছে ভেঙে, ঠাণ্ডা লেগে। স্বভাবতই তিনি মুস্কিলে পড়লেন। তবু কিছু বলতেই হবে। শ্রোতারা আধার আগ্রহে বসে আছেন। শেষমেষ তিনি স্থির করলেন, তার ঠাণ্ডা লেগে গলা ধরে যাওয়ার কথা তিনি হিন্দিতেই জানাবেন। নিজের মনে কথাগুলো হিন্দি অনুবাদ করে নিয়ে আমতা আমতা করে শরৎচন্দ্ৰ বললেন,
হামারা গর্দান বৈঠ গিয়া ভাই!
শরৎচন্দ্রের মুখে এই হিন্দি শুনে শ্রোতারা হেসে উঠলেন।
Leave a Reply