বেতো ঘোড়া
সাহিত্যিকরা তো আর সবসময় লেখালেখি করেন না। মাঝেমাঝে অন্যাকাজেও সময় কাটান। শরৎচন্দ্ৰও তেমনই মাঝেমাঝে বন্ধুদের সঙ্গে আডজ দিতেন, কখনো দাবা খেলতেন। একদিন শরৎচন্দ্ৰ সন্ধেবেলায় তার এক অস্তরঙ্গ বন্ধুর সঙ্গে দারা খেলছিলেন। দাবা তার খুব প্রিয় খেলা। খেলতে খেলতে তিনি একটা দারুণ চাল দিয়ে তাঁর বন্ধুর নৌকাটা তুলে নিলেন, বন্ধুটি হেসে বললেন, ভালোই করেছ বন্ধু, আমার নৌকাটা ফুটো ছিল।
খেলা জমে উঠেছে। বন্ধুটি এর কিছুক্ষণ পর দারুণ একটা চাল দিয়ে তুলে নিলেন। শরৎচন্দ্রের ঘোড়াটি। কিন্তু শরৎচন্দ্ৰ হার না মেনে রসিকতা করে বন্ধুকে বললেন, বুঝলে বন্ধু, আপদ গেছে বেশ হয়েছে। আমার ঘোড়াটি বেতো ঘোড়া। বেতো ঘোড়া নিয়ে তো যুদ্ধে জেতা যায় না। কী বলো?
শরৎচন্দ্রের কথা শুনে বন্ধুটি দাবার চাল দিতে দিতে হেসে উঠলেন।
Leave a Reply