পুরুষের সন্তান প্রসব
সেবার স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকায় গেছেন বিশ্বধর্ম মহা সম্মেলনে যোগ দিতে। ভারতীয় দেখলেই আমেরিকানরা মুখ বেঁকাতেন। ভারতীয়দের সম্পর্কে তাঁদের ধারনটাও ছিল অন্যরকম। তাঁরা মনে করতেন, ভারতীয়রা বুঝি গোঁড়া, কুসংস্কারাচ্ছন্ন! একদিন এক বিদেশীর সঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ আলাপ করছিলেন। কথাপ্রসঙ্গে বিদেশীটি বিবেকানন্দকে জিগ্যেস করলেন, আচ্ছা স্বামীজী, শুনেছি ভারতবর্ষে নাকি শিশু জন্মগ্রহণ করলেই তাকে গঙ্গার জলে ফেলে দেওয়া হয়?
বিদেশীটির মুখে এইরকম অশিক্ষিত-প্রশ্ন শুনে স্বভাবতই স্বামী বিবেকানন্দের মাথাগরম হয়ে গেল। তবু তিনি রাগ সংবরণ করে ঠোঁটে কিঞ্চিৎ হাসি লাগিয়ে বললেন, আমি কিন্তু বেঁচে গিয়েছি।
বিদেশীটি থামলেন না। আবার মুখের মত প্রশ্ন করলেন বিবেকানন্দকে, স্বামীজী, আপনাদের দেশে কন্যা সন্তান জন্মালেই নাকি তাকে কুমীরের মুখে ছুঁড়ে দেওয়া হয়? এবার রাগের মাত্রা ছাড়িয়ে গেল। তবু বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ মুখে একগাল হাসি নিয়ে বিদেশীকে বললেন, আপনি ঠিকই শুনেছেন মশাই, সেই জন্যই তো আজকাল ভারতবর্ষে পুরুষরা সন্তান প্রসব করছে।
এহেন জবাব পেয়ে সেই বিদেশী আর স্বামী বিবেকানন্দের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পেলেন না। বিদেশী পরাজিত এক ভারতীয়র কাছে!
Leave a Reply