ভদ্রলোক
রবীন্দ্ৰনাথ জোড়াসাঁকোয় এসেছেন শুনে তার সঙ্গে দেখা করতে এলেন হেমন্তবালা দেবী। কিন্তু যখন হেমন্তবালা এলেন, কবি তখন ঘরে ছিলেন না। কিন্তু এসেছেন যখন দেখা করেই যাবেন—এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হেমন্তবালা দেবী কবির ঘরে বসে অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিছুক্ষণ চুপ বসে থাকার পর হেমন্তবালা টেবিলে কবির খাতাপত্ৰ আনমনে নাড়াচাড়া করতে লাগলেন। সেই সময় কবির প্রবেশ। রবীন্দ্রনাথ ঘরে ঢুকেই গভীর মুখে বললেন, ‘এ তোমার কেমন স্বভাব হে? ভদ্রলোকের ঘরে ঢুকে কাউকে কিছু না বলে এটা সেটা নাড়াচাড়া করছ?’
হেমন্তবালা দেবী তখন কবির কথার উত্তরে হাসতে হাসতে বললেন, ‘আমি কোন ভদ্রলোকের ঘরে ঢুকে কী নাড়াচাড়া করতে গেছি বলুন?’
কবি বললেন, ‘সে কী কথা? আমাকে তুমি ভদ্রলোক মনে কর না?’
অনুমতি নিতে হবে?
এবার কৃত্রিম গাম্ভীর্য সরিয়ে কবি হেসে উঠলেন। হেসে উঠলেন হেমন্তবালা দেবীও।
Leave a Reply