দুষ্টু যখন শান্ত
শান্তিনিকেতনের আশ্রমের মেয়েরা শ্ৰীসদনের অধ্যক্ষ হেমবালা দেবীকে মাসিম বলত। মেয়েরা তাকে যেমন ভয় পেত তেমন ভালবাসত। কয়েকটি দুষ্ট মেয়ে তাকে অস্থির করে তুলত। তখন হেমবালা দেবী রবীন্দ্রনাথের কাছে বাধ্য হয়ে নালিশ করতেন। আশ্রমে গৌরী, লাবী, মালতী নামে তিনজন মেয়ে ছিল। তারা ছিল বড় দুষ্ট্র প্রকৃতির। জোড়াসাঁকোয় নটীর পূজা’ নাটকে অভিনয় করে আসার পর তাদের বিবাহ হয়ে যায়। বিয়ের পর তারা আর চঞ্চল, অস্থির, দুন্টু রইল না, একদম শান্তশিষ্ট লক্ষ্মী বউ হয়ে গেল।
আশ্রমের এক দিদিমণির মুখে এই তিন দুষ্টুর বিয়ের পর শান্ত হয়ে যাওয়ার কথা শুনে রবীন্দ্রনাথ হেসে বলেন, ‘কী ভুলই না করেছি এত দিন। আমার উচিত ছিল শ্ৰী সদনে একজন শাশুড়ি এনে বসানো। তাহলে ঐ মেয়েরা আগে থেকেই শান্তশিষ্ট হয়ে থাকত।’
Leave a Reply