মায়া-দয়া
রবীন্দ্রনাথের বেশিরভাগ গানের সুরকার দীনেন্দ্ৰনাথ যখন খুব ছোট, তখন কবি নতুন লেখা গানে সুর সংযোজন নিজেই করতেন এবং সুর সংযোজন করেই ডাকতেন স্নেহের ভাইপো বিখ্যাত চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্ৰনাথ সুর সংযোজন করেই ভুলে যেতেন। তাই অবনীন্দ্রনাথের ওপর সুর মনে রাখার দায়িত্ব পড়ত। অবনীন্দ্রনাথ কবির সঙ্গে এসরাজ সঙ্গত করতেন। শুধু অবনীন্দ্ৰেনাথ নন, কবি যাঁকেই প্রথম নতুন গান তোলাতেন, তাকেই গানের সুরাটা মনে রাখতে হতো। একদিন রবীন্দ্রনাথকে অবনীন্দ্ৰনাথ বললেন, ‘আমি তো তোমার গান ভাল গাইতে পারি না, আর তাছাড়া তোমার সুর আমার গলায় আসে না। কিন্তু তোমার লেখা গান যদি আমার সুরে গাই, তোমার আপত্তি আছে?’
অবন ঠাকুরের কথা শুনে কিছুক্ষণ ভেবে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘না না,তাতে আমার আপত্তি নেই। তবে যে গানগুলোয় আমি লিখে সুর দিয়েছিলাম, সেগুলোর ওপর আমার মমতা আছে, যদি সেগুলো নেহাত গাইতে ইচ্ছে করে একটু মায়া-দয়া রেখে গেয়ো।’
রবি কাকার কথা শুনে হেসে ফেললেন অবনীন্দ্ৰনাথ।
Leave a Reply