পান মার্গে অগ্ৰগতি
রবীন্দ্রনাথের ভক্তরা তাকে নিয়মিত ফল পাঠাতেন। যেমন অতুলপ্ৰসাদ লক্ষেনী থেকে আম পাঠাতেন, দাৰ্জিলিং-এর এক মহিলা ভক্ত পাঠাতেন। কমললেবু। কলকাতার ভক্তরাও অনেকে নানা রকম ফল পাঠাতেন। কবি প্রাতরাশের পর এক গ্লাস এই ফলের সরবত খেতেন। সেই সময় যাঁরা উপস্থিত থাকতেন তঁরা এক গ্লাস ফলের সরবত থেকে বঞ্চিত হতেন না।
‘অগ্রগতি’ পত্রিকার সম্পাদক নন্দগোপাল সেনগুপ্ত একদিন কবির কাছ থেকে লেখা নিতে এসেছেন। সেটা কবির সরবত খাওয়ার সময়। ভৃত্য কবির সঙ্গে নন্দগোপালের জন্যও এক গ্লাস সরবত নিয়ে এল। কিন্তু সরবত মুখে দিয়েই নন্দগোপাল নাক কুঁচকে উঠলেন। সরবতের স্বাদ তার ভাল লাগছিল না। কিন্তু মুখ ফুটে তা কবিকে বলতেও পারছেন না। কিন্তু কবি ঠিকই বুঝে গেলেন এর কারণ। আসলে কবি সেদিন টমেটোর সরবত খাচ্ছিলেন। কবি তখন হেসে বললেন, কী নন্দগোপাল, সরবত ভাল লাগছে না? এ যে অতি উৎকৃষ্ট পানীয় হে। তাহলে তো দেখছি, এই পান। মাগে তোমার অগ্রগতির বেশি আশা নেই।’
এ কথা শুনে নন্দগোপাল হাসলেন ও গ্লাস ভর্তি সরবত এক দমে পান করে নিলেন। ‘অগ্রগতি’ পত্রিকার সম্পাদক বলেই কবিগুরু তার সঙ্গে এরকম রসিকতা করলেন।
Leave a Reply