কান্না হাসি
রবীন্দ্ৰনাথ শেষ বয়সে অন্ত্রোপচারের পর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। সেই সময় অনেকেই কবির সেবায় নিযুক্ত হন। তাঁদের মধ্যে একজন নির্মল কুমারী। একদিন সকালে নির্মলকুমারী গভীর মুখে কবির কাছে এসে দাঁড়ালেন। কবি তখন ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুম ভেঙে নির্মলকুমারীকে গভীর মুখে থাকতে দেখে কবি এমন গোল গোল বড় বড় চোখ করলেন যে নির্মলকুমারী না হেসে পারলেন না। তার হাসি দেখে কবি বললেন, হাঁটা,সবসময় এইরকম হাসি মুখে থাকবে। একদম গভীর মুখ করে থাকবে না।’
নিজের কষ্ট যতই হোক, অন্যেরা তাঁর কষ্ট দেখে কষ্ট পাক-এটা কবি চাইতেন না। তাই নিজের কষ্ট চেপে কবি অন্যকে হাসাচ্ছেন দেখে নির্মলকুমারীর দু’চোখ জলে ভরে ওঠে।
নির্মলকুমারীর চোখে জল দেখে কবি বললেন, ‘না না, কান্না নয়, আমি হাসি দেখতে ভালবাসি।’
Leave a Reply