গর্জন
সময় সুযোগ পেলেই রবীন্দ্রনাথ চেনা মানুষজনের সঙ্গে রঙ্গ রসিকতা ঠাট্টা তামাসায় মেতে উঠতেন। কবি তার খাসভৃত্য উমাচরণের সঙ্গেও রঙ্গ রসিকতা করতেন। উমাচরণের মৃত্যুর পর তার জায়গায় এল সাধুচরণ। সে কাজকর্মে যথেষ্টই পটু। তবে সে বড়ই গভীর প্রকৃতির মানুষ। মনিবের সঙ্গে সবসময় দূরত্ব রেখে চলে। কম কথা বলে। যেটুকু প্রশ্ন, শুধু তার উত্তর দেয়। হাসেই না বলা যায়। তবে নিজের কাজ করে যায় মন দিয়ে। তার কাজে কবি সন্তুষ্ট, কিন্তু তার গম্ভীর স্বভাব কবির পছন্দ নয়। সাধুচরণ সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে চাইলে তাই কবি হেসে বলতেন, ‘আমার নতুন ভূত্য সাধুচরণ যা গম্ভীর! মনে হয়, যেন আমার গার্জেন। ওর কথা শুনতে পাই না, তবে গর্জন শুনতে পাই।’
তবে কিছুদিনের মধ্যেই কবি সাধুচরণকে নিজের মত করে নিয়েছিলেন।
Leave a Reply