দুগ্ধপোষ্য
গরমকালে শান্তিনিকেতন প্ৰচণ্ড গরম পড়ে। সেই কারণে অনেক শিক্ষক ও ছাত্র গরম সহ্য করতে না পেরে এই সময় বাড়ি চলে যান। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ দুধ এই সময় বাড়তি পড়ে থাকে। কী করা যায়! খাবার ঘরের পরিচালক নিজে এসে একদিন এ কথা জানিয়ে গেলেন রবীন্দ্রনাথকে। সব শুনে রবীন্দ্রনাথ ভাবলেন কিছুক্ষণ, তারপর বললেন, ‘আচ্ছা, শাস্ত্রীমশাই তো শান্তিনিকেতনেই আছেন, তাই না? আর তিনি তো নিরামিষভোজী। তাঁকেই না হয় বেশি করে দুধ দিন।’
খাবার ঘরের পরিচালক রবীন্দ্রনাথের এই কথা শুনে চলে গেলেন। পরের দিন রবীন্দ্ৰনাথ একটি চিঠি লিখে পত্রিবাহকের হাত দিয়ে শাস্ত্রীমশাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। শাস্ত্রীমশাই চিঠি খুলে পড়লেন, তাতে লেখা—‘শাস্ত্রীমশাই, এখন থেকে আপনার কাছে দৈনিক তিন-চার সেরা দুধ যাবে। আপনাকে দুগ্ধপোষ্য রাখব মনস্থ করেছি।’
এই পত্র পড়ে শাস্ত্রীমশাই মুচকি হাসলেন।
Leave a Reply