দুধ খাওয়া দুধ মাখা
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের খাসভৃত্য ছিল বনমালী। সে রবীন্দ্রনাথের দেখাশোনা করত। তার গায়ের রঙটি ছিল কুচকুচে কালো।
একবার কবিপত্নী মৃণালিণী দেবী এসেছেন শান্তিনিকেতনে। এসেই তিনি নিজের কঁধে সংসারের সব দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন। কবির জন্য রান্না করা, কবিকে খেতে দেওয়া, ঘরদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে সাজানো-সব কাজ করতেন। কবির ‘ভাই ছুটি’। বনমালীকে আর বিশেষ কিছুই করতে হত না।
একদিন কবিগুরু বনমালীকে ডেকে জিগ্যেস করলেন, ‘কী রে বনমালী, খাওয়াদাওয়া কেমন চলছে?’
বনমালী উত্তর দিল, আজ্ঞে, খাওয়া-দাওয়া ভালোই চলছে। দিদিমণি আমাকে কোনো কাজই করতে দেন না, উপরন্তু দুধ খাওয়াচ্ছেন।’
রবীন্দ্রনাথ এ কথা শুনে রসিকতা করে বললেন, ‘বটে! খুব দুধ খাওয়াচ্ছেন, তাই না? কিন্তু দুধ খাওয়াচ্ছেন কেন? দুধ মাখালেই তো পারতেন! তাহলে অন্তত তোর গায়ের রং একটু ফর্স হতো। দুধ খেয়ে তো তোর গায়ের রঙের বেশি উন্নতি হচ্ছে বলে মনে হয় না।’
এ কথা শুনে বনমালী লজ্জা পেয়ে বলল, ‘কী যে বলেন গুরুদেব!’
Leave a Reply