সাক্ষী
বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তবে বিচারকের আসনে বসলেও তিনি রসিকতা করতে ছাড়তেন না। একবার একজন ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির নামে আদালতে নালিশ করে যে, সে জানলা খুলে প্রতিদিন তার স্ত্রীর প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করে।
মামলা উঠেছে বঙ্কিমচন্দ্রের এজলাসে। বিচারকের আসনে বসে তিনি প্রথম ব্যক্তিকে জিগ্যেস করলেন, ‘আপনার সাক্ষী আছে তো? নাহলে আপনি জানলেন কী করে লোকটি আপনার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকে।’
বঙ্কিমচন্দ্রের কথা শুনে মাথা চুলকে ব্যক্তিটি বলল, ‘হুজুর, সাক্ষী আমার স্ত্রী স্বয়ং! সে নিজেই দেখেছে লোকটি তার দিকে ড্যাবি ড্যাব চোখে তাকিয়ে থাকে!’
কথা শুনে বঙ্কিমচন্দ্র সাহাস্যে বললেন, ‘বুঝলাম, তাহলে দেখতে পাচ্ছি। আপনার স্ত্রীরও পরপুরুষের প্রতি তাকিয়ে থাকার বদ অভ্যাস আছে। না হলে তিনি কেমন করে জানলেন এই ব্যক্তিটি তাঁর দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করেছে?’
বঙ্কিমচন্দ্রের কথা শুনে প্রথম ব্যক্তিটির মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল, হাসির রোল উঠল বিচারসভায়।
পরিশেষে বঙ্কিমচন্দ্র বললেন, ‘চোখ আর হাওয়া কারও মানা মানে না, একথা সকলকে মনে রাখতে হবে।’
Leave a Reply