হস্তিমূর্খ
নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র একবার এসেছেন বঙ্কিমচন্দ্রের কাঁঠালপাড়ার বাড়িতে। দুই সাহিত্যিকের সম্পর্ক ছিল রঙ্গ রসিকতা-ঠাট্ট তামাসার। বঙ্কিমচন্দ্র একদিন মজা করে একটা ছোট টুকরো কাগজে কী একটা লিখে দীনবন্ধুর অজান্তে তাঁর জামার পিছনে আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিলেন। সেই লেখা পড়ে হাসছেন। সকলেই। দীনবন্ধু কিছুই বুঝছেন না। শুধু ভাবছেন-কী ব্যাপার, সবাই আমার পিঠের দিকে তাকিয়ে হাসছেন কেন? শেষমেষ বুঝলেন, নিশ্চই বঙ্কিম কিছু কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তখন দীনবন্ধু বঙ্কিমের ভ্ৰাতা পূর্নচন্দ্ৰকে ডেকে বললেন, ‘ভাই, আমার পিঠে কী লেখা আছে একটু বলে দাও। কারণ হাতির পিঠে মশা-মাছি বসলে তো সে নিজে দেখতে পায় না।’
ছেড়ে দেবার পাত্র নন। বঙ্কিমচন্দ্রও। চটজলদি তিনি রসিকতা করে বললেন ‘বুঝলে তো, দেখতে পায় না বলেই তেমন জীবকে লোকে বলে হস্তিমূর্খ।’
বঙ্কিমের রসিকতায় দীনবন্ধু ও অন্যরা না হেসে পারলেন না।
Leave a Reply