হাঁড়ি
শ্ৰীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব খুব আনন্দ পেতেন নব্যযুবকদের দেখলে।
তিনি বলতেন, ‘আহো! বড় ভালো লাগে ওদের দেখলে। আমি তো ওদের মধ্যে কামিনী-কাঞ্চনের মোহ দেখতে পাই না, দেখতে পাই না বিষয় বুদ্ধির লোভ। আর সেই কারণেই তো। ওরা পবিত্র, শুদ্ধ। প্রকৃত অর্থে ওরা হল নিত্য সিদ্ধ। তাই তো শিশুকাল থেকেই ওদের ঈশ্বরের প্রতি এত আকর্ষণ! আমি যে ওদের মধ্যে সাক্ষাৎ নারায়ণকে দেখতে পাই গো । আর সেইজন্যই তো এই ছোকরাগুলোকে আমি এত ভালোবাসি।’
শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব আরও রসিকতা করে নব্যযুবকদের বলতেন, ‘এই ছোকরাগুলো যেন এক একটা নতুন হাঁড়ি গো! যার মধ্যে দুগ্ধ রাখা যায় নিশ্চিন্তে। আসলে ওদেরতো। কঁচা বয়স। ওদের যা দেবে, যা বলবে, তাই ওরা সহজসরলভাবে নোবে, ভালো মনে করেই নেবে। এমনকি উপদেশ, জ্ঞান সবকিছুই বড় সহজ সরল মনেই ওরা মেনে নেয়। তাই তো আমি ওদের বড় ভালোবাসি।’
শ্ৰীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের এ হেন রসিকতা শুনে শ্রোতারা না হেসে থাকতে পারতেন না।
তৎকালীন নব্যযুবকরাও তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় স্বামী বিবেকানন্দের নাম।
Leave a Reply